ঢাকা: বাংলাদেশের পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-কুষ্টিয়ায় লঙ্কা প্রতি কিলো বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। অথচ এ তিন জেলায় লঙ্কার আবাদ হয় ব্যাপক।
কৃষকরা বলছেন দীঘদিন খরার কারণে ফলন মার খেয়েছে।কৃষকরা বলছেন, এখন অবশ্য বৃষ্টি হচ্ছে দাম কমে আসছে।
এদিকে বাংলাদেশে লঙ্কার দাম আকাশচুম্বি রুখতে ভারত থেকে লঙ্কা আমদানি করা হচ্ছে। যদিও পত্রিকার খবরে দেখা যাচ্ছে কলকাতার বাজারগুলোতে তিনশো টাকা দরেই প্রতি কিলো লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে।
প্রথম চালানেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছে ছয় ট্রাক কাঁচালঙ্কা। পাঁচদিনের ইদের ছুটি শেষে পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরার ভোমরা-বশিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে শুরু হয়েছে কাঁচালঙ্কার আমদানি।
আর প্রথম চালানেই এসেছে ৬টি ট্রাক কাঁচালঙ্কা।কাঁচা লঙ্কার চড়া দাম প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা লঙ্কার দাম বাড়ে এটা সবাই জানে।
বৃষ্টি কমলেই এর দাম কমে যাবে। রবিবার ইদের পর ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ইদে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের দেশের মানুষই স্বস্তির সঙ্গে পালন করেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। রাজধানীতেও পরিস্থিতি ভালো ছিল।
কাঁচা লঙ্কার কিলো ৭০০ টাকা হওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাজারের ওপর কারো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সব সময় থাকে না। এটা ওঠানামা করে।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আধিকারীকদের সঙ্গে ইদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, বাংলাদেশের বাজারে আপনাকে ফিক্সড করে দেওয়া হয় নাই যে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারবেন না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না, যেটা উন্নত দেশগুলোতে হচ্ছে।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ফলন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য রাখছি।
আপাতত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রভাব এখনো পড়েনি।
বাংলাদেশে প্রতি কিলো চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচাবাজারের দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। লঙ্কার উৎপাদন নিয়ে একই কথা জানান কৃষক নরেশ চন্দ্র ও নিজাম উদ্দিন।
তারা বলেন, ‘কয়েক দিন আগের খরার কারণে গাছে তেমন ফুল ছিল না। বর্তমানে ক্ষেতে মরিচ কম। বাইরে থেকে মরিচ আমদানি নেই।
উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ায় দাম বেশি।’তারা বলেন, ‘বৃষ্টির জল পাওয়ার পর গাছ সতেজ হইছে। প্রচুর পরিমাণে জোয়ারও আসতেছে। এই ফলনটা ওঠা শুরু করলে দাম কমে যাবে। সেটাও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে।
আবার অতি বৃষ্টিতে গাছ ও ফসল নষ্ট হলে দাম পতন হবে না, বরং আরও বাড়তে পারে। কৃষক নরেশ চন্দ্র বলেন, ‘জমির মধ্যে মরিচের ধরতি (ফলন) নাই। গাছে ফল নাই। অতিরিক্ত খরার কারণে ফলন হয় নাই।
এখন বৃষ্টির কারণে গাছ ভালো হইছে, জোয়ার আসছে। এই ফল পাওয়া গেইলে তখন দাম কমতে পারে।