ঢাকা: ভারতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেবেন বিদেশ মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেখানে ঢাকার (dhaka) পক্ষ থেকে আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের জন্য প্রস্তাব রাখা হবে।
আর মন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসবেন মোমেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান বিদেশ মন্ত্রী।
১ মার্চ বুধবার জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যাবেন বিদেশ মন্ত্রী মোমেন। বৈঠকে বাংলাদেশ কোন বিষয়গুলো তুলে ধরবে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে মোমেন বলেন, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমাদের দাওয়াত দিয়েছে। আমরা জি-২০ সদস্য নয়। তারা (ভারত) জানতে চেয়েছে আমাদের কী ভিউস।
তারা (ভারত) জি-২০তে ভিউসগুলো তুলে ধরতে চাচ্ছে। আমরা সাজেশন দেব। আমাদের অনেকগুলো সাজেশন আছে। ভারত এগুলো জি-২০তে বলতে পারে।
বিদেশ মন্ত্রী জানান, আমাদের এসডিজি অর্জনের জন্য মিউচুয়াল ইমপ্লিমেন্ট খুব দুর্বল। আমরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য বলতে পারি।
যুদ্ধ হলে মানুষের ক্ষতি হয়, বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর। আমরা অনেকগুলো প্রস্তাব দেব। ভারত কোনগুলো গ্রহণ করবে আমরা জানি না। আমরা চাই, উন্নয়নটা হবে শান্তির এবং স্থিতিশীলতার; উসকানিমূলক পরিবেশ নয়। সম্মেলনের ফাঁকে ভারত, ফ্রান্স, সুইডেনসহ কয়েকটি দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. মোমেন।
এ প্রসঙ্গে মোমেন জানান, চার থেকে পাঁচটা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে হবে, ফ্রান্স ও সুইডেনের সঙ্গে আছে।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে কোন বিষয় বিষয়গুলো আলোচনায় থাকছে-জানতে চাইলে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারত যাবেন। আর আমরা ভারতের সঙ্গে সব সময় সুযোগ পেলে দ্বিপাক্ষিক অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করি।
অনেকগুলো সমাধান হয়ে গেছে, অনেকগুলো সমাধান হচ্ছে। ভারতের ডেমোক্রেসি ভেরি স্ট্রং, সেজন্য আমরা গিয়ে যখনই সুযোগ পাই পুশ করি।
নির্বাচন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বহুদিন পরে। এটা নিয়ে অন্যদের মাথাব্যথা। আপনারা (গণমাধ্যম) কথা বলেন। আমাদের নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য; এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বর্তমান বাংলাদেশ অনেক পরিপক্ব। এমন অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে সংঘাত ও মারামারি এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের আন্তরিকতার ওপর জোর দেন মোমেন। তার ভাষায়, এটা খুব লজ্জার যে, নির্বাচনের সময় আমাদের দেশে সংঘাত হয়। আমরা আশা করি আগামীতে এমনটা আর হবে না। আমরা যথেষ্ট পরিপক্ব।
পরিপক্বতার একটা বড় নমুনা হবে সংঘাত এড়িয়ে চলা। বিভিন্ন দল যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাদের আন্তরিকতার ওপর। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যদি আন্তরিক হয় তাহলে কোনো মারামারি হয় না।