চার দেওয়ালের ভেতর পশুকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু সেই পশুর ঘরেও আলো-বাতাস প্রবেশের সামান্য পথ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের রাউৎখাই গ্রামের তিন পরিবারের ঘরে নেই কোন দক্ষিণা বাতাস ঢোকার পথ।
ঘটনাটি সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার রাউৎখাই গ্রামের। এক সরকারী স্থানে ইটের দেওয়াল তুলে তিনটি পরিবারের আবালবৃদ্ধবনিতাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৫০ এর অধিক। ঘটনার মূলে আব্দুল হান্নান নামক ব্যক্তি।
সূত্রে খবর, মৃত তোয়াব উল্লার পুত্র ধন মিয়া, লাল মিয়া এবং প্রতিবেশি মৃত তৈয়ব আলির ছেলে রৌপ মিয়ার পরিবার রাউৎখাই গ্রামে বুড়ি নদীর পাশে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বাস করছেন । সরল এই পরিবারের মানুষগুলোকে তাঁদের বাড়ি সংলগ্ন জমি রাস্তা শর্তে কিনে নেন গ্রামের মস্তান আব্দুল হান্নান।
কিন্তু রাস্তা দেওয়া তো দূর ! উলটে তাঁদের বাড়ির পাশেই একখানা বাড়ি গড়ে তোলা হচ্ছে।আলো-বাতাসের প্রবেশ বন্ধ করে ১০ ফুটের মতো উচু প্রাচীর নির্মাণ করে পরিবারকে বদ্ধ জন্তুর মত আটকে রাখার ছক কষছে হান্নান। সরকারী জমি দখলের উদ্দেশ্যে দেওয়ালের ভিত নির্মাণ করা হয়েছে সরকারের জায়গাতেই।
ধন মিয়া জানিয়েছেন, শর্তানুযায়ী তাঁদের রাস্তা দেওয়া হয়নি উলটে যাতায়াতের রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, তাঁদের যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল বুড়ি নদীর পাড়ের সরকারি জায়গা।
ঘটনায় আপত্তি করলে ধন মিয়াকে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় ! শুধু তাই নয়, ওসমানী নগর থানায় দেওয়া হয় মিথ্যে অভিযোগ !
পরিবারের কোন সদস্য যদি মারা যায় তাহলে সেই নিথর দেহ বের করারও জায়গা নেই। দীর্ঘদিন তারা বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই সেই বাড়িতে বাস করছেন। ঘটনায় শিলেট পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ঐ পরিবার।
হান্নানের মতে, তাঁর সঙ্গে নাকি কোন শর্তই হয়নি পরিবারের। এছাড়া তনি জোর গলায় জানান, সরকারি জমি আরো অনেকেই দখল করে আছে, সবাই ছাড়লে আমিও ছাড়বো।