একটানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢল নেমে বাংলাদেশের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে । বান্দরবানের ৭ উপজেলার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ হয়ে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে । তাঁদের স্বাভাবিক চলার গতি ব্যাহত হয়ে পড়েছে ।
বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনগণ নাজেহাল হচ্ছে।
সংবাদ লেখা অবধি, চার দিনেও চালু হয়নি সমগ্র দেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক ও গ্রাম।
আজ শুক্রবারেও সমান তালে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে বান্দরবানে ।
এপার-ওপার দুই বাংলাতেই বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে । ভারতের বিহার, অসম, মেঘালয়,নেপাল এবং বাংলাদেশে ভারী বর্ষণে সাত নদীর (সুরমা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, কংস, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও তিস্তা) জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামি ৪৮ ঘণ্টায় যমুনার পানি জামালপুর জেলায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ।
এদিকে দুর্গাপুর, বারহাট্টা ও কলমাকান্দার প্রায় ১৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে প্রবল বন্যায় ।
রাঙ্গামাটি শহরে সরকারিভাবে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নিয়েছেন দুই হাজারের অধিক বন্যাক্রান্ত মানুষ ।