ঢাকা: রয়েল বেঙ্গল টাইগার (royal Bengal tiger) বাংলাদেশের জাতীয় পশু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এজন্য বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বাংলাদেশের সুন্দরবনকে (sundarban) রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অভয়ারন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু কিছু অসৎ মানুষ সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাঘ শিকার করে এর মাংস, চামড়া, হাড়গোড় সৌখিন লোকদের কাছে কোটি টাকায় বিক্রি করছে। সুন্দরবনে বাঘের বিচরণ এলাকায় রেখে আসা হয় বিষমিশ্রিত ছাগলের মাংস।
বাঘ ওই মাংস খেয়ে মারা যাওয়ার পর এর চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আসা হয়। এভাবেই সুন্দরবন থেকে বাঘ শিকার করে আসছিল একটি চক্র। এদের মধ্যে দুইজনকে সম্প্রতি আটক করেছে এলিট বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
এই চক্র পরে সৌখিন মানুষের কাছে তা বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা দামে। গত সোমবার বিকেলে আটক করা ওই দুজন। এরা হলো- মো. হাফিজুর শেখ ও মো. ইসমাইল শেখ। তাদের বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধলপাড়া গ্রামে।
র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে এই বাঘ শিকার চক্রটির সম্পর্কে তথ্য পায়। পরে বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যক্ষের ক্রেতা সেজে তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়া লবণ মাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
গত ২৭ জানুয়ারি এ দুজন শ্যামনগর উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবন থেকে বাঘটি শিকার করেছিল। পরে সৌখিন মানুষদের খুঁজছিলেন, যারা প্রায় কোটি টাকা মূল্য দিয়ে একেকটি বাঘের চামড়া কিনে থাকে।
র্যাব জানায় ‘যারা এসব বাঘের চামড়া কেনে তারাও তাদের নজরদারিতে আছে। গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিকারিরা জানিয়েছেন, তারা মাছ ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাঘ শিকার করত। সুযোগ বুঝে বনের অন্যান্য প্রাণিও শিকার করত তারা।
এদিকে এরআগে হাবিব তালুকদার তথা ‘বাঘ হাবিব’ নামে বন বিভাগের তালিকাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে গত ২০ বছরে অন্তত ৭০টি বাঘ মেরেছে। হাবিবের নামে ৯টি মামলা আছে।