ওপার বাংলায় বন্ধ হল জি বাংলার সম্প্রচার। জি নেটওয়ার্কের জি সিনেমা, জি বাংলা সিনেমা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জি বাংলাই নয়, ভারতের সমস্ত চ্যানেল নিষিদ্ধ হতে পারে বাংলাদেশে। হায়রে দেশভাগ।
ক্যাবল টেলিভিশন নেট ওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর উপধারা ১৯ (১৩) বিধান অনুযায়ি বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো আইনত দণ্ডনীয়। মূলত বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত সমস্যার জন্যেই সমস্ত বাংলাদেশে বন্ধ করা হয়েছে জি নেটওয়ার্কের চ্যানেল। দেশের বেসরকারি টেলিভিশনের কর্তারা বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকের এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলোচনায় বসেন। গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন যে, ডাউন লিংক করে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখনোটা আইনবিরোধী কার্য। এই আইন যথাযথ ভাবে রক্ষিত হলে দেশে বছরে ৫০০ কোটি টাকা বাড়বে। দেশে অর্থনীতির মান আরো উন্নত হবে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ‘ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েসন অফ বাংলাদেশে’ (কোয়াব)র প্রতিষ্ঠাতা এস এম আনোয়ার পারভেজ। তিনি কালের কণ্ঠকে জানান যে, কোন বস্তুকে এইভাবে প্রতিবাদ করে বন্ধ করা যায় না। উদাহরণ দিয়ে তিনি ইউটিউব এর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, প্রসার পাওয়াকে কেউ ঠেকাতে পারে না। এভাবে কোন পে চ্যানেল চলবে না বলেও জানান তিনি।
‘কোয়াব’ এর মতে, পে চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন সম্প্রচার ছাড়া চালাতে দেবে চ্যানেল কতৃপক্ষ। কিন্তু তথ্য মন্ত্রনালয় কোন মর্মেই চ্যানেলগুলোকে বিজ্ঞাপন সহ চালাতে দেবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তথ্যমন্ত্রনালয়ের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কোয়াব’ প্রথমে জি নেটওয়ার্কের সমস্ত চ্যানেল বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে অন্যান্য বিদেশি চ্যানেল গুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।