বাংলাদেশে একইসঙ্গে চলছে ডেঙ্গু ও ভয়াবহ বন্যার তাণ্ডব ।
পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের জল ভয়ংকরভাবে বৃদ্ধি পেয়ে শেরপুরের অবস্থা দ্রুত খারাপ করে তুলেছে । বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরনো ভাঙন অংশ দিয়ে বন্যার জল দ্রুতবেগে প্রবেশ করে প্লাবিত করে ফেলেছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।
জল উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানা গেছে, আজ ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের জল ১ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ।
সিএনজি অটোরিকশা চলাচল ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ বন্যা আতংকে ভুগছেন ।
ইতিমধ্যে শেরপুরের ৫ টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের মোট ১৭২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মানুষের অবস্থা বিধ্বস্ত । সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে । পড়ুয়াদের লেখাপড়ায় প্রচণ্ড বাধা সৃষ্টি হচ্ছে । এলাকার মোট ৫২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রলয়ংকারি বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে ।
শেরপুরের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ৮৭টি, বগুড়ার তিন উপজেলার ৮৬টি, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১৬টি এবং নীলফামারীর ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বন্যায় ডুবে গেছে গাইবান্ধা রেলপথ । রেলপথ জলের নীচে চলে যাওয়ায় ঢাকার সঙ্গে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ গতকাল বুধবার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ।
বুধবার, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শেরপুর সদরের কুলুরচর-বেপারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া শতাধিক মানুষের হাতে প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি চিড়া এবং গুড় বিতরণ করে জেলা প্রশাসন।
তবে শেরপুরে কিছুটা বন্যা আক্রান্তরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য লাভ করলেও ত্রাণ না পাওয়া বন্যার্তদের হাহাকার শোনা যাচ্ছে চারদিকে ।