ঢাকা: বাংলাদেশে ঈদের জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব-পুলিশ।প্রত্যেকটি ঈদ জামাতকে ঘিরে থাকবে কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঈদে গুজব নিয়ন্ত্রণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারিতে পুলিশের বিশেষ দল কাজ করছে। ঈদুল ফিতরের জামাত উপলক্ষে র্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত র্যাব সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, চেকপোস্ট। পাশাপাশি সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদের নামাজে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
যে কোনো হামলা ও নাশকতা মোকাবিলার র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক বজায় রয়েছে।
অপরদিকে বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের অপতৎপরতাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো ধরনের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, সারা বাংলাদেশে সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঈদে ডিএমপি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। বান্দরবানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের যে অপতৎপরতা চলছে, এসব ঘিরে ঢাকায় কোনো শঙ্কা নেই। যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কেএনএফর সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও তৎপরতা নেই। এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই। তারপরেও সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমান্যরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।জাতীয় ঈদগাহে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
জাতীয় ঈদগাহ ও আশেপাশের এলাকায় এসবি সদস্যরা ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের সাধ্যমে তল্লাশি করবেন। ডিবি-এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে অবস্থান করবেন।