ঢাকা: কয়েকমাস আগে বাংলাদেশে (Bangladesh) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেনার ডিপোর স্মৃতি উসকে ফের শনিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
চট্টগ্রামের (chottogram) সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় এবার তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৭ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
আগুনে গোডাউনের তুলা পুড়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের আরও ৪টি দোকান পুড়ে গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা বাইপাস রোড সংলগ্ন হিঙ্গিরি পাড়া এলাকায় এস এল গ্রুপের মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটে।
খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।এরআগে জানুয়ারিতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তারও আগে বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুনে ৬০জনের প্রাণহানি ঘটে। কয়েককোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শবিবার সকালে গোডাউনে মেরামতের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কাটিং কাজ করার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলার উপরে পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো তুলার গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন আধিকারিক নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন।
একই সময়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিট তাদের সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ কাজে যোগ দেয়।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গ বরিশাল নগরের নতুন বাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতঘর পুড়ে গেছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নতুনবাজার আদি শ্মশান এলাকায় এই আগুন লাগে।খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নতুনবাজার আদি শ্মশান এলাকায় আগুন লেগে নিরোদ বাড়ৈ, সেলিম, তপন, সুনীল, তরুণ ঘোষ, পেয়ারা বেগম, কালু ও জামালের ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
তারা জানান, ভোরে অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই কোনো পরিবারের লোকজনই পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে মালামাল বের করতে পারেননি। আগুনের লেলিহান শিখায় আটটি ঘরের সবকিছুই পুড়ে গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস চলে আসায় পার্শ্ববর্তী ৩০ থেকে ৪০টি ঘর রক্ষা পায়।
অবশ্য কয়েকটি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের বরিশালের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
অপরদিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ২২টি দোকান পুড়ে গেছে। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার সহবতপুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় ৫ টি দোকান পুড়ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চর বিশ্বাস ইউনিয়নের বুধবারের বাজারে আগুন লেগে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে ২ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।