ফণীর ছোবলে বাংলাদেশে কমপক্ষেও ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৩ জন। বাংলাদেশের ১০টি জেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ফণী।
বাংলাদেশের বরগুণা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, ভোলা, লক্ষীপুর, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ফণীর তাণ্ডবে বিধ্বস্ত।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী সাইক্লোনে প্রায় ১৩,০০০ ঘর ভেঙ্গে পড়েছে বাংলাদেশে। ঘূর্ণিঝড়ের পর ৩৬টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে।
যতটুকু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল তার থেকে অনেক কম প্রভাব পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি, স্থলভাগ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় আস্তে আস্তে বাতাসের গতিবেগ কম হয়েছে। ঝড় মোকাবেলায় সরকার-প্রশাসন সক্রিয় থাকায়, ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেতের বেষ্টনিতে রাখা হয়েছিল। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছিল। প্রায় ৬০ লক্ষ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।