ছেলে বেলায় ফিরতে কার না মন চায়! জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই সবার একবার মন বলে ‘ছেলে বেলাই বেস্ট’।
ছোট্টবেলায় খেলার অন্যতম সঙ্গী ছিল পুতুল। নিজ হাতে বানানো পুতুল, মায়ের বানিয়ে দেওয়া পুতুল, মেলায় কেনা পুতুলই সঙ্গী ছিল শৈশবের। বর, বউ, ছেলে, মেয়ে, কুকুর, বিড়াল, গরু, ঘোড়া, হাতি, নৌকা আরও কত রকমের পুতুল!
কিন্তু, আজ ডিজিট্যালের কোপে পুতুল খেলা যেন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ এখন এসে গেছে নতুনত্ব কম্পিউটার বা মোবাইল গেম।
তবে, ইন্টারনেটের দুনিয়ায়ও পুতুলের দেশে ফিরতে পারেন।
বয়সের ফারাক নেই, ছেলেবেলায় ফিরতে চাইলে অবশ্যই চলে যেতে হবে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে।
সেখানে ৫৩৪টি নানা রকমের পুতুল নিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘পুতুল: বাংলার প্রাণ-প্রতিমা’।
প্রদর্শনীর একটি বড় অংশে রয়েছে, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সংগ্রহ করা বেশ কিছু পুতুল। তিনি বাংলার লোকঐতিহ্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে লোকজ উপাদান সংগ্রহ করতেন। শিল্পাচার্যের আবেগ, ভালোবাসা এবং দায়িত্বশীলতার স্মারক হয়ে প্রদর্শনীতে এসেছে পুতুলগুলো। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কিছু চিত্রকর্মে টেপা পুতুলের আদল দেখা যাবে। এটি বোঝানোর জন্যও শিল্পীর চিত্রকর্মও (প্রিন্ট) রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীতে চিত্রশিল্পী সামিনা নাফিজের সংগ্রহ করা পুতুলও প্রদর্শনীতে রয়েছে। তিনি ময়মনসিংহের ছয় জেলা ঘুরে স্থানীয় মেলা বা উৎসব থেকে সংগ্রহ করেছেন নানান পুতুল। সেগুলোই রয়েছে সেখানে। ময়মনসিংহের ছয় জেলার ৪৫ জন লোক ও কারুশিল্পীর তৈরি পুতুলের পাশাপাশি আরও কিছু শিল্পকর্মও রয়েছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীতে আছে ঐতিহ্যবাহী পুতুলও। নানা আঙ্গিকের এসব পুতুলে উঠে এসেছে আবহমান বাংলার যাপিত জীবনের চিত্র।