এবার সরাসরি ওষুধ নিয়ে চোরাকারবারি বাংলাদেশে ! অভিযুক্তদের শাহবাগ থানার পুলিশের হাতে সমঝে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের ওষুধ অবৈধভাবে বিক্রি করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নীলক্ষেতের এক ফার্মাসির মালিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের এক কর্মচারী।
আটক দুজনের নাম মো হানিফ এবং অ্যাম্বুলেন্সচালক আবদুল মালেক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, নীলক্ষেতের ফার্মাসিতে বহুদিন ধরেই ওষুধের অবৈধ কারবার চলছে ওষুধের। অবৈধ ব্যবসার খবর পেয়েই সেখানে গতকাল ছদ্মভাবে ওষুধ কেনার জন্যে গিয়েছিলেন ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান। ফার্মাসি থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিল লাগানো ওষুধ কেনেন, সিল লাগানো ওষুধ কোথায় পেলেন তিনি, জানতে চাইলে দোকানি ধরা পড়ে মাফ চাইতে থাকেন। চাপে পড়ে শেষে স্বীকার করেন, চিকিৎসাকেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্সচালক আবদুল মালেক এই অবৈধ কার্যে জড়িত। সে-ই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ যোগান দিয়ে আসছে এতদিন।
কাহিনির শেষ এখানেই নয়। আবদুল স্বীকার করে, চিকিৎসাকেন্দ্রের তিনজন চিকিৎসকের পরামর্শপত্রের মাধ্যমেই সেখান থেকে ওষুধ কেনে আবদুল।
সূত্রের খবরে জানতে পারা গেছে, অভিযুক্ত ফার্মাসির মালিক এবং অ্যাম্বুলেন্সচালককে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিল লাগানো সমস্ত ওষুধ জব্দ করেছেন।