ঢাকা: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিন কোজি কটেজ বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও ৪২ জনকে। নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪ জন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ১ জনের মরদেহ রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের পাঁচজন। অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে থেকে ২৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়।
দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে বহু মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া ব্যক্তিরা আগুনের মুখে আটকা পড়ে।
আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়েছিলো। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবল লেডার ব্যবহার করে আটকে পড়া ৭৫ জনকে নামিয়ে আনে। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।