ঢাকা: করোনার পর এবার বাংলাদেশে (Bangladesh) চোখ রাঙ্গাচ্ছে ডেঙ্গু (dengue)। ঢাকাসহ বাংলাদেশে (Bangladesh) সর্বত্রই বেড়েছে এডিস মশার বিস্তার। বেড়েছে ডেঙ্গুর (dengue) প্রকোপ ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
ডেঙ্গুতে (dengue) আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নতুন নতুন রোগী। অনেকেই বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি ডেঙ্গু (dengue) রোগী বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত ঢাকাবাসী।
দিন যতই যাচ্ছে ডেঙ্গুর (dengue) প্রকোপ ততই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৪৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ জন।
নতুন ১৪৫ জনসহ বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু (dengue) রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৩ জনে।
ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৬৩ জন। চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি ছিলেন ৮ হাজার ৯৬ জন।
তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন ৭ হাজার ১৩২ জন। চলতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে (dengue) ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর (dengue) প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এই সময়ে ডেঙ্গু (dengue) নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন থাকতে হবে।
এডিস মশার বংশবিস্তারের স্থান নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ডেঙ্গুর (dengue) প্রাদুর্ভাব বড় আকারে দেখা দিতে পারে। এ বছর তুলনামূলক কম পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। সে হিসেবে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাওয়ার কথা।
তবে বাস্তবে ঘটছে সম্পূর্ণ উল্টোটা। ঢাকাজুড়ে বেড়েছে এডিস মশার বিস্তার। সিটি করপোরেশন এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে ব্যর্থ হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ছে।
ডেঙ্গুর মৌসুমে সিটি করপোরেশন মশা নিধনে আন্তরিক না হওয়ায় এই সময়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। এখনই সিটি করপোরেশন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। অন্যথায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে রোগী সামাল দেয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে এগিয়ে আসতে হবে।
এ জন্য বাসাবাড়ির আনাচে কানাচে, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টবে জমা জল ৩ দিন পরপর ফেলে দিতে হবে।