‘যেতে দিতে ইচ্ছা নাহি, তবু হায় যেতে দিতে হয়’।
আজ পরপারে চলে গেলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা সালেহ আহমেদ। বুধবার দুপুর ২ টা ৩৩ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। অভিনয় জগতের নক্ষত্র খসে গেল !
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন নন্দিত অভিনেতা সালেহ আহমেদ।
ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় মারা গেলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা সালেহ।
বুধবার সকালের দিকে শ্যালক আওয়াল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, দুলাভাইকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অ্যাপোলো হসপিটালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল! তার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ও শরীরের মূল অরগ্যানগুলো ঠিকমতো কাজ করছিল না।
বাংলাদেশের ঔপন্যাসিক, নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদের অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে কোঠায় স্থান করে নিয়েছিলেন অভিনেতা সালেহ।
প্রায় ৫ বছর ধরে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল।
উল্লেখ্য, আজ ২৪ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বিগত ৮ বছর ধরে তিনি অভিনয় জগত থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন। কিন্তু কেন ?
অভিনেতা আহমেদের স্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১১ সালে তাঁর ব্রেন স্ট্রোক করে। তারপর থেকে তিনি কিছুটা নীরব ছিলেন। কিন্তু এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে বিখ্যাত নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদের প্রয়াণের পরই অভিনয় জগত থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এর কারণ স্বরুপ অভিনেতা সালেহের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, অভিনয় জগতে সালেহের যাত্রা শুরু হয়েছিল হুমায়ুন আহমেদের আঙুল ধরেই।
নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস ‘আগুনের পরশমণি’ এবং ধারাবাহিক ‘অয়োময়’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে প্রখ্যাত অভিনেতা সালেহ আহমেদের পদচারণা আরম্ভ হয়।