অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬২ সালের এপ্রিল মাসে আজকের দিনে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
বাংলার বাঘ একে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৯ অক্টোবর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ওয়াজেদ আলি ছিলেন বরিশালের খ্যাতনামা আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম।
বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে ‘শেরে বাংলা (বাংলার বাঘ)’ এবং ‘হক সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন।
তিনি ছিলেন, কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৫৫), পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬-১৯৫৮)।
তিনি, ১৪ বছর বয়সে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে প্রথম শ্রেণির বৃত্তি এবং পারিতোষিকসহ ঢাকা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এফএ এবং পরে রসায়ন বিদ্যা, পদার্থ বিদ্যা ও গণিতে অনার্সসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
একে ফজলুল হক ১৮৯৫ সালে গণিতে এমএ পাস করেন। বরিশালের রামচন্দ্র কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতার পর ১৮৯৭ সালে তিনি বিএল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপরই তিনি পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা আইনজীবী স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সহকারী রূপে ১৯০০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯০৬ সালে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্টেট হিসেবে চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় ছয় বছর পর ১৯১১ সালে চাকরি ছেড়ে আবার আইন ব্যবসায়ে নেমে পড়েন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।