কৌতুক জগতে্র আকাশ থেকে আরেক নক্ষত্র খসে পড়ল গতকাল রাত ১১ টায়। পরপারে চলে গেলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য কৌতুক অভিনেতা আনিসুর রহমান আনিস।
ট্রেজেডি তো মানুষের জীবন সঙ্গী। ট্রেজেডিতে আত্মার মুক্তি ঘটে ক্যাথারসিসের মাধ্যমে। কিন্তু কমেডিরও আলাদা মূল্য রয়েছে জীবনে। কঠিন সঙ্ঘর্ষের জীবনে কৌতুক দেখে ক্ষণিকের জন্যে আমরা ভুলে যাই জটিলতাকে। সেই জটিলতা ভুলতে আমদর্শককে সহায় করেছেন চির পরিচিত অভিনেতা আনিস।
‘চরাচরে কাহারে রাখিবি ধরে দুটি ছোটো হাতে গরবিনী’? রবিবার ১১ টা নাগাদ ঢাকার টিকাটুলীর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৮ বছর বয়সে। স্ট্রোকই আনিসের জীবনের ইতি টানল !
টিকাটুলী জামে মসজিদে আজ সোমবার সকাল ৯ টায় অভিনেতা আনিসের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কৌতুকাভিনেতার জীবনে পথ চলা শুরু হয়েছিল চিত্রসম্পাদক হিসেবে। খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার এহতেশাম এবং মুস্তাফিজের লিও দোসানী ফিল্মসে সহকারি সম্পাদক ও পরিচালক ছিলেন আনিস।
১৯৬০ সালে ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এই ছবির মধ্য দিয়েই কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আনিসের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অবশ্য ছবিটির মুক্তি ঘটেনি।
আনিস অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ১৯৬৩ সালে জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এই তো জীবন’। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি অভিনয় করেছেন। আড়াই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আনিস।