বাংলাদেশের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ে মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় চারজন মারা গেছেন। তারা সবাই ঝড়ের সময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এছাড়া ঝড়ে ৪০টি গ্রামে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে হাজারেরও বেশি ঘর-বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে ভেঙে গেছে শত শত গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বোরো ধান। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিস রাস্তায় গাছ সরানোর কাজ শুরু করে। ঝড়ে ক্ষেতলাল এবং কালাই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
দেয়াল চাপায় নিহতরা হলেন-ক্ষেতলাল পৌর শহরের খলিশাগাড়ী মহল্লার একই পরিবারের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শিল্পি বেগম (২৮), তার দুই ছেলে নেওয়াজ (৭) ও নেওয়ামুল (৩) এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের মৃত ছালামতের স্ত্রী মরিয়ম নেছা (৭০)।
ঝড়ে মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় স্ত্রী ও সন্তানদের হারিয়ে খলিশাগাড়ী মহল্লার জয়নাল আবেদীন এখন প্রায় পাগল। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা সবাই ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ করে ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ে আমাদের উপর। আমি ওই সময় বের হতে পারলেও স্ত্রী ও সন্তানরা বের হতে পারেনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার পর জেলায় প্রবল বেগে ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের এক বৃদ্ধা দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছে। ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় মুরগীর সেড ভেঙে ৪০ হাজার মুরগী মারা গেছে।