অসমের বাঙ্গালিরা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (ক্যাব) প্রণয়নের দাবীতে সরব হলেও, বাংলাদেশের হিন্দু বাঙ্গালিরা ক্যাবের বিরোধীতা করছে। গতকাল প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন তথা হিন্দু বাঙ্গালি সংগঠন এই বিষয়ে একমত। বিশ্বহিন্দু পরিষদের হিন্দু চাপ্টার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ দুর্গাপূজা আয়োজক সমিতি থেকে সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে সকলেই একমত। তাদের মতে ভারতে ক্যাব গৃহীত হলে ক্ষতি হবে বাংলাদেশে বসবাস করা হিন্দু বাঙ্গালীদের।
তারা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতে ‘ক্যাব’ গৃহীত হলে বাংলাদেশের হিন্দু বাঙ্গালিদের ক্ষতি হবে। বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠবে ইসলামিক মৌলবাদীরা। সে দেশে জোরদার হতে পারে হিন্দু বাঙালি ক্লিনসিং। একই সংগে তারা জানান, বাংলাদেশ তাদের মাতৃভূমি। বাংলাদেশ ছেড়ে তারা কোথাও যেতে চান না। বাংলাদেশের একাংশ লোক মনে করেন,ভারতে এলে তা্দের দ্বীতিয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তাছাড়া নিজেদের মাতৃভুমি ছেড়ে তারা ভারতে আসবেন ই বা কেন?
এবার প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী বাংলাদেশে হিন্দু বাংগালিরা নিরাপদেই আছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চাপ্টারের প্রধান সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক জানিয়েছেন, সমস্যা আছে তবে সমস্যা সমাধানের বিকল্প পথ খুজছেন তারা। বাংলাদেশে থেকেই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে চান, তারা চান বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক মন্ত্রক গঠন করুক। এই মন্ত্রক হিন্দু বাঙালিদের সমস্যা সমাধান করবে। তিনি জানান, ভারতে যদি ক্যাব গৃহীত হয়। সিরিয়া বা ইরাকে সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, বাংলাদেশেও সে ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে ৮৮ জন হিন্দু বাঙ্গালিকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে ২৮৭ জনকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০৭ জন লোককে হত্যা করা হয়। ৩১ জন নিরুদ্দেশ হন।এই সময়সীমার মধ্যে ৬৮ জনকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। ভিন্ন ধর্মের লোকদের আক্রমণে আহত হন ৩৪৭ জন। এই অবস্থায় বাংলাদেশে ক্যাবের বিরোধীতা রহস্যের সৃষ্টি করেছে।