নারী-পুরুষে সমতা ও নারীর উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশে এক ঝটিকা সফরে যান অস্ট্রেলিয়ার নারী বিষয়ক রাষ্ট্রদূত ড. শারমান স্টোন। গত ২৯ এপ্রিল থেকে ২মে পর্যন্ত বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি। অবশ্যই মহিলাদের সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখেন এই রাষ্ট্রদূত।
তাঁর নজরে পড়েছে ১৯ বছর বয়সী নুসরাত জাহান রাফির ঘটনা। গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও।
বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত স্টোন, নারী-পুরুষে সমতা আনতে এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ করে মহিলা শিক্ষার্থীদের স্কুলে তালিকাভুক্তর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে তার প্রশংসা করেন।
স্টোন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ১৯ বছর বয়সী নুসরাত জাহান রাফির জন্যও। যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদের জন্য তাকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে এবং রাষ্ট্রদূত আরও মনে করিয়ে দেন যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোন দেশই নারীর বিরুদ্ধাচরণ শেষ হয় নি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে এই সংকটের ব্যপকতা এবং কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব দেখে রাষ্ট্রদূত স্টোন মর্মাহত হন।
রাষ্ট্রদূত স্টোন ইউএনএফপিএ-র নারীদের জন্য জায়গা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এখন পর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়ার সহায়তায়, শরণার্থী শিবির এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ৩০ হাজার বেশি মেয়ে এবং ছেলে শিশু ৩৬৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সহায়তার ফলে এই শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলার জন্য নিরাপদ জায়গা পেয়েছে।