ঢাকা: ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন রবীন্দ্রসংগীতের বরেণ্য শিল্পী বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। চলতি বছর ১১০ জনকে পদ্মশ্রী সম্মাননা দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪ সালের পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করে। এমন অর্জন বাংলাদেশের সঙ্গীতজগতের মানুষকে উৎসর্গ করে গুণী এই শিল্পী বলেছেন, এ সম্মান পুরো বাংলাদেশের।
ভারত সরকার ১৯৫৪ সালে পদ্ম পুরস্কার শুরু করেছিল। ১৯৫৫ সালে এর তিনটি ভাগ হয়। সেগুলো হচ্ছে-পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী। শিল্পকলা, সমাজকর্ম, জনসাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, বাণিজ্য ও শিল্প, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শিক্ষা, ক্রীড়া, সিভিল সার্ভিস ইত্যাদি বিভিন্ন শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্যতিক্রমী ও বিশিষ্ট সেবার জন্য পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়; উচ্চপদস্থ সেবার জন্য পদ্মভূষণ এবং যেকোনো ক্ষেত্রে বিশিষ্ট সেবার জন্য পদ্মশ্রী। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এবারের তালিকায় পদ্মবিভূষণে ৫, পদ্মভূষণে ১৭ ও পদ্মশ্রীতে ১১০ জন রয়েছেন।
দুই বাংলার জনপ্রিয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সঙ্গীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এ শিল্পী।
এবারের পদ্মশ্রীপ্রাপ্তদের রয়েছেন- ভারতের প্রথম নারী মাহুত পার্বতী বড়ুয়া, ছত্তিশগঢ়ের জশপুরের আদিবাসী উন্নয়নকর্মী জগেশ্বর যাদব, আদিবাসী পরিবেশবিদ এবং নারী উন্নয়নকর্মী চামি মুর্মু, দিব্যাঙ্গ সমাজকর্মী গুরবিন্দ্র সিংহ, কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি, সমাজকর্মী সংথানকিমা, প্রাচীন ওষধি চিকিৎসক হেমচাঁদ মাঞ্জি।
তালিকায় আছেন-কলকাতার কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল, ছৌ নাচের মুখোশ তৈরিকারক নেপালচন্দ্র সূত্রধর, আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু, দক্ষিণ আন্দামানের জৈব কৃষক কে চেল্লাম্মাল, অরুণাচল প্রদেশের ভেষজ ওষুধ বিশেষজ্ঞ ইয়ানুং জামো লেগো, মাইসুরুর আদিবাসী উন্নয়নকর্মী সোমান্না, আসামের আদিবাসী কৃষক সর্বেশ্বর বসুমাতারি, বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক প্রেমা ধনরাজ, ক্রীড়াবিদ উদয় বিশ্বনাথ দেশপান্ডে, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়াজদি মানেক্সা ইটালিয়া।
এছাড়াও আছেন-শিল্পী দম্পতি শান্তিদেবী পাসওয়ান, শিবান পাসওয়ান, পট শিল্পী অশোক কুমার বিশ্বাস, নৃত্যশিল্পী বালকৃষ্ণান সদানম পুথিয়া ভিটিল, ত্রিপুরার শাল তাঁতি স্মৃতিরেখা চাকমা, ওমপ্রকাশ শর্মা, কুন্নুরের লোকশিল্পী নারায়ণ ইপি, ওড়িশার লোকশিল্পী ভগবত প্রধান, বাঁশ শিল্পী জর্ডন লেপচা, মণিপুরের মচিহান সাসা, তেলঙ্গানার গড্ডাম সাম্মাইয়া, রাজস্থানের বহুরূপী শিল্পী জানকীলালও।