ঢাকা: সেনার তাড়া খেয়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে (Bangladesh) পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে সাড়ে ১১ লাখ Rohingya। এই জনগোষ্ঠির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু জঙ্গি ও অপরাধী। বিদেশে এসেও থেমে নেই তাদের অপকর্ম।
নিজের দেশের কিশোরী-যুবতীদের জোর করে তুলে হোটেলে নিয়ে দেহ ব্যবসা থেকে শুরু করে বিদেশেও পাচার করছে। এদের দস্যিপণায় অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাদের দস্যিপণা এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে, এবার কক্সবাজারের টেকনাফে শিক্ষার্থীসহ আটজনকে অপহরণ করেছে সশস্ত্র Rohingya সন্ত্রাসীরা।
অপহরণকারীরা জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। পুলিশের ধারণা, এ কাণ্ডে মাদক-মানব পাচারের লেনদেন থাকতে পারে।
রবিবার বিকেলে Dhaka থেকে পাঁচশো কিলোমিটার দূরের থানা টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহাজপুড়া পাহাড়ের পানির ছড়া থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। অপহৃতরা হলেন- বাহারছডা ইউনিয়নের মোহাম্মদ উল্লাহ, মোস্তফা কামাল, মো. রিদুয়ান, সেলিম উল্লাহ, করিম উল্লাহ, নুরুল হক, নুর মোহাম্মদ ও কলেজ শিক্ষার্থী আবছার।
অপহরণের শিকার মো. রিদুয়ানের বাবা মমতাজ জানান, মোস্তফা কামালসহ আটজন পাহাড়ি এলাকার খালে মাছ ধরতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ থানায় জানানো হয়। এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন করে জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে জানান মো. রিদুয়ানের বাবা মমতাজ।
স্থানীয়রা জানান, এ এলাকাগুলো দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কাউকে একা পেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ কাণ্ডে এলাকাবাসী আতঙ্কে আছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক মো. আব্দুল হালিম জানান আমরা তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি।
সাগরে ভাসছে ২শো’ মানুষঃ কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল হয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার সাগরে বিকল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রলারটিতে দুই শতাধিক যাত্রী রয়েছে।
এতে ৫০ জন বাংলাদেশি এবং উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে। রোহিঙ্গা নাগরিকদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া ট্রলারটি চার দিন ধরে সাগরে ভাসমান রয়েছে।
অনিশ্চিত দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রীদের সবাই কান্নাকাটি করেছে। মালয়েশিয়াগামী ইঞ্জিন বিকল ট্রলারে থাকা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগ টেকনাফ, উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ছিদ্দিক আহমদ (৩০) নামে আমার এক ভাগিনা দালালদের ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া রওনা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে টেকনাফ উপকূল থেকে ছেড়েছে। বর্তমানে ট্রলারের সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে আত্মীয়-স্বজনরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে কথা বলছে।
স্যাটেলাইট ফোনে ট্রলার মাঝির দেওয়া তথ্য মতে, তারা ভারতের আন্দামান দ্বীপের কাছাকাছি রয়েছে বলে ধারণা। তাদের অদূরে একটি নৌবাহিনীর বড় জাহাজও দেখা গেছে বলে জানায়।
তবে ট্রলারের যাত্রীদের বড় আশঙ্কা ও ভয় হচ্ছে, খাদ্য ও পানযোগ্য জলের সংকট নিয়ে। তাদের খাবার ও পানি প্রায় শেষ হয়ে গেছে । তারা এখন তাদের উদ্ধারে কান্নাকাটি করে দেশে মা-বাবার কাছে খবর পাঠাচ্ছে।