ঢাকা: বাংলাদেশে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ধাপে তিন দিন করে মোট ৬ দিন বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপের ইজতেমা ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করার করতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-১-সহ অন্যান্য পাঁচটি ব্যাটালিয়ন দায়িত্বরত থাকবে।
ইজতেমা এলাকায় নিরাপত্তা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া সদর দপ্তর থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে। আর যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল টিম বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তত রাখা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে দুই ধাপে আয়োজিত ইজতেমায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইজতেমা এলাকার আশপাশে উচ্ছৃঙ্খলতা, মাদকাসক্ত, ছিনতাই, পকেটমার ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কমাতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে ও আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আখেরি মোনাজাতের দিন মুসল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য র্যাবের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে।
তবে বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার টিমের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাব সব সময় সজাগ রয়েছে।