ঢাকা: বাংলা নববষর্কে-১৪৩১ স্বাগত জানিয়ে নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সময় পুরো এলাকায় ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে হাজারো মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে। রোববার সকাল সোয়া ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।পাখি, হাতি ও ভোঁদরের পাশাপাশি পাঁচটি বড় মোটিফের সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সাজ-পোশাকে ফোটে বৈশাখ উদযাপনের রঙ।
রোববার সকালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষ উদযাপনে তার আগে থেকেই শাহবাগ এলাকা রূপ নেয় জনারণ্যে।নানা সাজে বিভিন্ন বয়সী মানুষে অংশ নেন শোভাযাত্রায়।
ঢাকের তালে তালে শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় এটি।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় পাখি, হাতি ও ভোঁদরের পাশাপাশি ছিল ভিন্ন আরেকটি মোটিফ। চাকার মধ্যে ফুল দিয়ে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। রিকশার চিত্রকর্মকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় এই মোটিফ। রিকশার চাকা এবং রিকশার সামনে যে ফুল থাকে, সেটি বানানো হয়েছে মোটিফ আকারে।
এছাড়া একটি শিশুর হাতে পাখা-এরকম একটি বড় মোটিফ ছিল এবার। মোট পাঁচটি বড় মোটিফের সঙ্গে অনেকেরই হাতে ছিল নানা রঙের ছোট ছোট শিল্পকর্ম। তবে মুখোশ নিষিদ্ধ ছিল এবার। মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ অংশ নেন। সেইসঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, প্রতিবারই একটা গোষ্ঠী মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে সারা বছর অপপ্রচার চালায়। কিন্তু মানুষ ওই একদিন এসে উৎসবে মেতে সকল অপপ্রচারের জবাব দেয়।এবার ঈদের ছুটির কারণে আমরা ভেবেছিলাম লোক কম হবে। কিন্তু এত লোকের সমাগম দেখেই বোঝা যায় মানুষ কীভাবে প্রাণের উৎসবে একত্রিত হয়।