বাংলাদেশে দাঁড়িপাল্লায় কনের ওজনে টাকা দেওয়া হলো বরকে, দাঁড়াতে হচ্ছে আইনের কাঠ গোড়ায়

ঢাকা: বিয়ের একটি প্রাচীন প্রথা দেখা মিললো বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নে। বিয়েতে কনের ওজনে টাকা দেওয়া হয়েছে বরপক্ষকে।

নদীয়া জেলার সীমান্ত সংলগ্ন কুষ্টিয়ার ওই বিয়ে অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বেশ আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষের দিকে এমন সময় লাল বেনারসি শাড়ি পরে কনে বসেছেন বড় দাঁড়িপাল্লায়। তাকে ঘিরে ধরেছে অনুষ্ঠানের অতিথিরা।

এক পাল্লায় বিয়ের পোশাক পরা কনে, অন্য পাল্লায় রাখা হয়েছে কয়েন (টাকা)। এর পর কনের ওজনের সমপরিমাণ কয়েন উপহার হিসেবে দেওয়া হয় পাত্রপক্ষকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামের রতন আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন আগে তারা নিজেরা বিয়ে করেন। পরে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তবে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবার উপস্থিতিতে মেয়ের বাবা দাঁড়িপাল্লায় মেপে কনের সমপরিমাণ কয়েন (টাকা) ছেলেকে উপঢৌকন দেন।

এ বিষয়ে মেয়ের বাবা রতন আলি বলেন, মেয়ের জন্মের সময় মানত করা হয়েছিল-মেয়ে বেঁচে থাকলে বিয়েতে তার ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে কয়েন দেওয়া হয়েছে। প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়ার ঘটনা এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।

প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মাস্টার বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়া অন্যায় হয়েছে। কেন এটি করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ জানান, তিনি বিষয়টা জানেন না, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।