ঢাকা: নানা আয়োজনে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদ্যার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে, মণ্ডপ-মন্দিরে ভক্তিভরে বাণী অর্চনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে Saraswati Puja।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব শুক্লা পঞ্চমীতে শেত-শুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর আবাহন হয়। মা সরস্বতী জ্ঞানদায়িনী বিদ্যাদেবী সরস্বতী শ্বেত-শুভ্র বসনা। তার এক হাতে বীণা অন্য হাতে বেদপুস্তক।
অর্থাৎ বীণাপানিতে যার তিনি বীণাপানি-সরস্বতী। আর এ থেকেই বাণী অর্চনার প্রচলন। বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে (Bangladesh) সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।
অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানাবেন পুণ্যার্থীরা। সরস্বতী বিদ্যার ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হন। অফিস-আদালত, পাড়া-মহল্লায় বৃহস্পতিবার পূজাম-মণ্ডপে পুণ্যার্থীরা মায়ের পাদপদ্মে অঞ্জলি দেন।
দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হয় অনেক স্থানে। এ ছাড়া কিছু মণ্ডপে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আঁধার হিসেবে সরস্বতী দেবীর আরাধনা করা হয়। করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর অনাড়ম্বর সীমিত পরিসরে পূজা হলেও সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবার আড়ম্বরপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা।
প্রতিবছরের মতো এবারও dhaka বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতীর পূজার মহা আয়োজন হয়। এবার রেকর্ড ৭৩টি মন্ডপ করা হয় হলের মাঠে। চারুকলা বিভাগ এবারও হলের পুকুরে মাঝখানে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান মণ্ডপ গড়ে তুলেছে।
এদিন সকাল পৌনে ৯টায় পূজার্চনা এবং ১০টায় অঞ্জলি দেওয়া শুরু হয়। এছাড়া সন্ধ্যা আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয় থাকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মন্দির ও বাসাবাড়িতে।