ঢাকা: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা।
ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই পবিত্র দিনে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজছেন মুসলমানরা। এছাড়া ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
বাঙালি মুসলমান সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে আসেন। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে তিনটি চেকপোস্ট পার হয়ে ঈদগাহ ময়দানে আসেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়ার মাধ্যমে ঢাকা হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমেদ। ঈদ জামাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ জামাতে অংশ নেন।
একইভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদগাহে ও মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। ঈদুল আজহা মূলত ত্যাগ ও বিসর্জনের বার্তা নিয়ে আসে।
এদিন পশু জবাইয়ের মাধ্যমে ত্যাগের একটি প্রতীকী প্রকাশ ঘটানো হয়। এর মাধ্যমে মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে নৈতিক ও আত্মিকভাবে পরিশীলিত করা হয়।