বরিশালে ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম ঘাঁটি পরিণত সরকারের অবহেলায় পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে ! উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরি যিনি নাটুবাবু নামে জনপ্রিয়, তাঁর জমিদারবাড়িটি অযত্নলালিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছুদিন পর এর চিহ্ণ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে যেমন হিন্দু সংখ্যালঘুদের জমি অবৈধভাবে দখল করার প্রচেষ্টা চলছে, ঠিক একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত জমিদার বাড়িটিকে বেদখল করার প্রয়াস চালাচ্ছে বহুদিন ধরে এক চক্র। এই সংবাদ জানার পর পুলিশ দখলদারিদের উচ্ছেদ করেছে বলেই জানা গেছে সূত্রে।
৬ দশমিক ৬৯ একর জমির ওপর রয়েছে বাড়ির মূল দোতলা ভবন। যা সংস্কারের অভাবে ঝরে পড়ছে।শেখ হাসিনা সরকারের কাছে জমিদারের উত্তরাধিকারদের একান্ত অনুরোধ, বাড়িটি যেন জনকল্যাণে নিয়োজিত করা হয়, সেই সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতার সঙ্গে যে বাড়ি জড়িত, তাঁকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষণ করুক, এই পরিবারের আশা।
উল্লেখ্য, যে স্বাধীনতা এসেছে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে, সেই তাঁদের একান্ত ঘাঁটি ছিল এই জমিদার বাড়ি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর বরিশাল অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের এক আশ্রয় ছিল নাটুবাবুর জমিদার বাড়ি। বর্তমানে বাড়ির মূল ভবনে বাস করছেন নাটুবাবুর স্ত্রী ছায়া এবং পুত্র বিপ্লব রায় চৌধুরি।
নাটুবাবু ছিলেন বিপ্লবী। বিপ্লবীর জীবন তো সর্বদা ঝুঁকিপূর্ণ ! কিন্তু যে জীবন জনহিতার্থে নিয়োজিত, তাঁদের নাটুবাবুর মতই নির্ভয়ী হতে হয়। তাই তিনি নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ক্যাম্প করে দিয়েছিলেন। এবং তিনিও এ বাড়ি থেকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতেন।
১৯৭৩ সালে পাকিস্তানি বাহিনি নাটুবাবুকে হত্যা করে।