বাংলাদেশে একাদশ নির্বাচনের বার্ষিকীতে সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করে পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের হামলায় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম জোটের কালো পতাকা মিছিলে এ হামলা হয়।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বাম জোটের নেতাকর্মীরা তেজগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিলেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে বাম জোট। এরই অংশ হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বাম জোটভুক্ত দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ডেকেছিল।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। বেশ ক’জনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাম জোটের নেতাকর্মীদের থামাতে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ বাম জোটের নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত হয়ে ঢামেকের জরুরি বিভাগে ১৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জিয়াউর রহমান, এএসআই আবদুল মালেক ও পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম, বাম জোটের জোনায়েদ সাকি, লিপি আক্তার, আরিফ, সুমিত, সজীব, রাশেদ, তমা, উজ্জ্বল, রিমি, সাইফুল হক, নাঈম ও ইরফান।