যে সালিশের শুদ্ধ বিচারে মানুষ আলোর পথ দেখে, সে সালিশ কেড়ে নিল ১৫ বছর কিশোর জসিমুদ্দিনের প্রাণ !
ঘটনা রাজশাহী গোদাগাড়ি উপজেলার । গ্রাম্য সালিশি সভায় হাজার মানুষের সামনে বাবাকে দিয়ে জুতাপেটা করানো হয় ছেলেকে। লজ্জায়, আত্মসম্মানে আত্মহত্যা করে চিরদিনের মত সালিশি সভাকে বিদায় জানিয়ে পরপারে চলে গেল।
জসিম পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিরিজপুর এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরিজপুর এলাকার মাঠে তারা দুজন দেখা করে। স্থানীয়রা তা দেখতে পেয়ে দুজনকে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে রাতেই গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জসিমের বাবাকে দিয়ে তাকে জুতাপেটা করান। এরপর আর রাতে বাড়ি ফেরেনি জসিম। লোকলজ্জায় রাতেই সরমংলা খাড়ির পাশের একটি গাছে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে।
আত্মহত্যা ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছেঃ
‘এই বয়সে একটু প্রেম ভালোবাসতো থাকবেই; তাই বলে লঘু অপরাধের জন্য গুরু শাস্তি দেয়া যাবে না। জুতা পেটা করার যে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত তা গুরুতর অপরাধ। যারা সালিশ বৈঠক করেছেন তারা ভুলে যান যে জীবনে তারা এইরূপ বহু অপরাধ আর ভুল করে জীবনের এই পর্যায়ে তারা এসেছে’।
গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনা্র আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।