ঢাকা: বাংলাদেশে (bangladesh) মঙ্গলবার সকাল থেকেই মা দুর্গাকে (maa durga) দেখার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে নেমেছে ভক্তদের ঢল। ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ। শরদোৎসবে (durga puja) নানা-ধর্ম ও বর্ণের মানুষ।
বাজছে শঙ্খধ্বনি। টানা মন্ত্র পাঠ। উলুধ্বনি আর অঞ্জলি। সঙ্গে ঢাকের বাদ্য, সিঁদুর খেলা। মঙ্গলবার সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার (durga puja) মহানবমী।
কাশফুলের ঝাঁকে মহানবমীতে মন খারাপের হাওয়া, বাংলাদেশে (bangladesh) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে বাজতে শুরু করেছে বিষাদের সুর।
মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা (durga puja) । পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার দিনের অশ্রু।
তাই মঙ্গলবার মহানবমীর দিনে দেবী দুর্গাকে (durga puja) প্রাণভরে দেখেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তদের মনে একটাই আকুতি-না পোহায় যেন এই নবমী নিশি।
বুধবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার (durga puja) আনুষ্ঠানিকতা। সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা।
নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এসময়।
এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। এই দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।