বন্দী অবস্থায় আসামীকে পুড়িয়ে মারা হল বাংলাদেশ কারাগারে !
বর্বরতার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটল বাংলাদেশে । আসামীর নাম পলাশ কুমার রায়। পেশায় আইনজীবি। তাঁকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পঞ্চগড় কারাগারে বন্দী অবস্থাতেই পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
উল্লেখ্য, আসামী আইনজীবিকে ২৬ এপ্রিল কারাগারের ভেতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৩০ এপ্রিল আসামি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
পলাশ কুমারের মা মীরা রানী রায় জানিয়েছেন যে, আইনজীবী পলাশ বাবুকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে পঞ্চগড় থানায় নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করা হয়েছে। পলাশ কুমারের পরিবারের মানুষ অভিযোগ তুলেছেন, পলাশ বাবু তাঁর মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তাঁকে হত্যা করার বর্ণনা দিয়ে গেছেন এভাবেই। দাবি আইনজীবির পরিবারের লোকজনদের ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, হত্যার ঘটনা তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের প্রতিষ্ঠা সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন আইনজীবি পলাশ রায় । হিন্দু মহাজোট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২৫ মার্চ তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাঁর ঠিক এক মাস পরই অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হল কারাগার থেকে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আইনজীবি পলাশবাবুর বিরুদ্ধে ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ। বিগত ২৫ মার্চ তারিখে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পলাশ রায় পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির করা এক মামলা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করছিলেন। পরে শের–ই বাংলা পার্কের পাশে মহাসড়কে এসে মানববন্ধন শুরু করেন।
সেখানেই রাজীব রানা নামক এক যুবক পলাশের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন।