কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরের চারপাশে জোরকদমে এগিয়ে চলেছে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ।
হত্যা, অপহরণ, মাদক ও মানব পাচারের মতো ঘটনা রোধে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্যে এই উপযুক্ত ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি দুর্বল হয়ে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন: “নজরদারি মোটেও দুর্বল নয়। আপনারা জানেন যে [কক্সবাজারে] ১,১০০,০০০ রোহিঙ্গা বাস করছেন, যা টেকনাফের জনসংখ্যার তিনগুণ বেশি।”
“রোহিঙ্গাদের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং আনসার বাহিনী সহ আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।”
এছাড়াও, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নজরদারি আরও জোরদার করার জন্য ওয়াচটাওয়ার এবং সিসিটিভি (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, মন্ত্রী আরও বলেছেন: “অতএব, রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সমস্ত বাহিনীকে যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে মিয়ানমারের সাথে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সাথে এখনও আলোচনা চলছে। তিনি আশাবাদী যে মিয়ানমার কোনওদিন নিজের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হবে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি দেখা গেছে, মাদকদ্রব্য পাচার ও খুনের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পগুলোতে প্রায়ই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে। এমনকি সেখানে তারা এক আওয়ামী লীগ নেতাকেও হত্যা করেছে। এ জন্য তাদের নজরদারিতে রাখা বিশেষ জরুরি হয়ে পড়েছে।”
সে লক্ষ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের আবেদন করেছিল সশস্ত্র বাহিনী।
এই শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক আহমদ (৬৭) কাঁটাতারের প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, ‘ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে রোহিঙ্গা নিরাপত্তা জোরদার হবে। ক্যাম্পে কিছু খারাপ লোকজন ঢুকে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে। এই কাঁটাতারের বেড়ার কারণে আগের মত লোকজন চলাচল করতে পারবে না। এই উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া দরকার ছিল। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’