বাংলাদেশের কক্সবাজার, জয়পুরহাট ও ময়মনসিংহে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গাসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত ও শুক্রবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় নাফ নদের তীরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের ‘এ’ ব্লকের সুলতান আহম্মেদের ছেলে আবুল হাসিম (২৫) ও একই শিবিরের সি ব্লকের আবু সিদ্দিকের ছেলে নূর কামাল (১৯)।
বিজিবির দাবি, ওই দুই রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছিলেন। তাঁরা ইয়াবা পাচারকারি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ কিরিচ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
অপরদিকে, বাংলাদেশের জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমিনুল ইসলাম ওরফে ক্যাসেট (৪২) উপজেলার পিয়ারা গ্রামের প্রয়াত শাহাবুল ইসলামের ছেলে। নিহতের বিরুদ্ধে অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান।
এদিকে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গেয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতিন মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কের এ ঘটনায় নিহত মোতালেব হোসেন (৪২) একই উপজেলার রসুলপুর ছয়ানি গ্রামের প্রয়াত আব্দুল গফুরের ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকনন্দ জানান, একটি ডাকাত দলের সদস্য মোতালেবের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।