বাংলাদেশে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরিতে আর থাকছে না কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পর, এবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পালা।
তবে এটি সম্পূর্ণভাবে যে কোটা মুক্ত হচ্ছে তা নয়, পরিপত্র জারি করে সুষ্পস্ট ভাবে বলা হয়েছে, অর্থাৎ চাকুরিতে কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে কেবল তখনই সাধারণ প্রার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারীদের দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে পদ শূন্য থাকবে না।
মোদ্দা কথা সরকারি চাকরিতে জেলা, নারী, মুক্তিযোদ্ধা, এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ কোটার যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে ওই পদগুলো আর শূন্য রাখা হবে না।
গত ৭ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একপত্রে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা আদেশে সরকারি, আধা–সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধা–স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেশনের চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ করা সম্ভব না হলে ওই পদগুলো খালি রাখতে হবে।
নির্দেশনা জারির পর থেকে পুলিশের কনস্টেবল পদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিটি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় পদগুলো সংরক্ষণ করেই রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী পুলিশ কনস্টেবল পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য কোনো প্রার্থী না পাওয়ায় সাত হাজার ৩৭৪টি পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই পদের সঙ্গে নতুন করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হলে একই ক্যাটাগরির প্রার্থীর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পরামর্শ চেয়ে বলা হয়েছে, যদি এখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং কোটার প্রার্থী না পাওয়া যায় তাহলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে?
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের যুগ্মসচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, এখন আর কোনো পদ সংরক্ষণ করার দরকার হবে না। ২০১৮ সালের ৫ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদসমূহে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য) যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে ওই সব পদসমূহ সাধারণ প্রার্থীদের মধ্যে যারা মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে পূরণ করতে হবে।