শিলচর: অসমের (assam) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ২৮০০০ পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিনে মারাত্মক ট্রাফিক জ্যামের জন্য হাইলাকান্দি (hailakandi) ও করিমগঞ্জ (karimganj) জেলার অধিকাংশ প্রার্থী শিলচর পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেননি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই জেলার প্রার্থীদের জন্য পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি তুলল বরাক ডেমোক্রেটিক ইউথ ফ্রন্ট (bdyf)। এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের কার্যকরী আহ্বায়ক দেবায়ন দেব বলেন যে রাজ্যের ২৪ টি জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করলেও আশ্চর্যজনক ভাবে হাইলাকান্দি (hailakandi) ও করিমগঞ্জ (karimganj) জেলায় কোন পরীক্ষা কেন্দ্র দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন এর পেছনে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য রয়েছে। বরাক (barak) তথা এক বিশেষ গোষ্ঠীর প্রার্থীরা যাতে এই পরীক্ষা দিতে না পারেন তার জন্যই এই পদক্ষেপ। এবং কার্যক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
দেবায়ন বলেন যে একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরণের বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্ব চলতে পারে না এবং আমরা সরকারের এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাচ্ছি।
তিনি বলেন বিডিএফ (bdf) সেইজন্য আগেই উক্ত দুই জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র দেবার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তাঁতে কর্ণপাত করেনি সরকার।
আজ যেহেতু করিমগঞ্জ (karimganj) ও হাইলাকান্দির (hailakandi) অনেক প্রার্থী পরীক্ষায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পাননি তাই অবিলম্বে এই দুই জেলার অনুপস্থিত প্রার্থীদের জন্য পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার ব্যাবস্থা করার জোরালো দাবি জানান তিনি।
বিডিওয়াইএফ (bdyf) এর আরেক আহ্বায়ক ইকবাল নাসিম চৌধুরী বলেন এই উপত্যাকার প্রচুর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এমনকি করিমগঞ্জ সংসদীয় সমষ্ঠির নির্বাচিত সাংসদও রয়েছেন অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি বলেন যে এরা সব দিশপুরের তল্পিবাহকের ভুমিকা পালন করছেন। ব্যাক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে তাঁরা এই উপত্যাকার ছেলে মেয়েদের স্বার্থে কাজ করতে চূড়ান্ত ব্যার্থ হয়েছেন।
তিনি বলেন এইসব অপদার্থ জনপ্রতিনিধিদের জন্যই এতদিন ধরে বরাক উপত্যকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অধরা রয়ে গেছে এবং এদের উপর ভরসা করলে নতুন প্রজন্মকে আবার ঠকতে হবে।
তাই বিকল্পের সন্ধান জরুরী বলে মন্তব্য করেন তিনি । বিডিওয়াইএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় রিপন দাস এই খবর জানিয়েছেন।