ভোটার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়! ফের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করলেন অমিত শাহ

উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ সারা ভারত উত্তাল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে। এর মধ্যেই ফের সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মঙ্গলবার পশ্চিম দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অমিত শাহ সিএএ তথা সংশোধিত আইন নিয়ে বিরোধীদের স্থিতিকে সমালোচনার লক্ষ্য করে নেন।

“যত ইচ্ছে বিরোধিতা করুন আপনারা, কিন্তু আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে তাঁদের ন্যায়প্রদান করবো।” অমিত শাহ এভাবেই জানিয়ে দিলেন ফের।

অন্যদিকে, ঝড়খণ্ডের একটি নির্বাচনি সভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া প্রতিবাদকে কংগ্রেসের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবাদ আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, ভোটার কার্ড থাকা মানেই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তাঁর মতে, একমাত্র নাগরিক পঞ্জিতে (এনআরসি) নাম থাকলে তবেই প্রমাণিত হবে, কোনও ব্যক্তি ভারতের নাগরিক এবং সেই কারণেই গোটা দেশে দ্রুত এনআরসি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের সরকার।

বিরোধিরা অমিত শাহের এই মন্তব্যে বিরোধিরা পালটা প্রশ্ন করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা ভোট দিয়ে আসছেন, তাঁরা যদি নাগরিক না-হন, তা হলে কারা এ দেশের নাগরিক? এছাড়া দেশের বৃহৎ সংখ্যক জনগণের আধার কার্ড রয়েছে। সেগুলো কি যথেষ্ট নয়?

তিনি বলেন, ‘‘না। ওই কার্ডগুলি নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না। আধার তো নয়ই। কারণ আধার কার্ডের অন্য একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই জন্যই এনআরসির প্রয়োজন রয়েছে।’’

স্বরাষ্ট্র সূত্র জানাচ্ছে যে, অসম মডেলে ঠিক হয়েছিল বাসিন্দাদের ভোটার কার্ড থাকতে হবে। পাশাপাশি ভিত্তি তারিখ এবং বর্ষ ধরা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ।

অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে থেকে যে-সব পরিবারের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে এবং যাঁদের ছবিসহ ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে, তাঁদের নাম নাগরিক পঞ্জিতে উঠবে ঠিক হয়েছিল।

কিন্তু অমিত শাহ ভোটার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলে দাবি করলেন, তাতে ফের দেশের জনসাধারণের মনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।