শুক্রবার অসমের ধুবরি জেলার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নুরুল ইসলামের হয়ে নির্বাচনি প্রচার চালাতে আসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে আবারও আক্রমণ হানেন বিজেপি’র উদ্দেশ্যে। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দিকে ছুঁড়ে দেন একের পর এক কটাক্ষ।
মমতা কটাক্ষ করে বলেন, অসমের হিমন্ত বিশ্বকর্মা নন, তিনি বিশ্বশর্মা। মমতা নির্বাচনি মঞ্চে ঢাল তলোয়ার নিয়েই ওঠেন। হাতে ছিল একখানা নথি । মমতা উল্লেখ করেন, নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা আছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার করা আর্থিক কেলেংকারি।
তিনি বলেন, অসমের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক চিরকালের। অসম সরকার এনআরসি লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। এই সংবাদে মমতার বুকে প্রচণ্ড ধাক্কা লাগে। বিজেপি সরকার হিন্দু– মুসলমান জাতিভেদ করছে, একথাও বলেন তিনি।
মোদিকে কটাক্ষ করে আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদি বাংলায় গিয়ে তো প্রচুর চিটফাণ্ড নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিয়েছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে গ্রেপ্তার করেছেন কি? মমতা নথি দেখিয়ে বলেন, তাঁর কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। সারদা’র মালিক নিজেই জানিয়েছে যে, হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মোদি তো তাঁর বিরুদ্ধে কোন আইন হাতে তুললেন না?
অসমের এন আর সি থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ যাবার পর মমতা তাঁর প্রতিনিধি দলকে অসমে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের বিমান বন্দরেই আটকে রাখা হল? অসম সরকারের এন আর সি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল হচ্ছে দুটো ললিপপ। এই ললিপপ দুটো নাগরিকের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে অসম সরকার। কিন্তু মানুষ এত বোকা নয়।
তিনি একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। আরো বলেন এত বড় আর্থিক কেলেংকারি করে বিজেপি বাঁচতে পারবে না।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অসমে মোট ৯ টি আসন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা জোর দিয়েই বলেন, তৃণমূল দুর্বল নয়। কেউ যদি তৃণমূলকে ভিতু, দুর্বল ভেবে থাকেন, তাহলে ভুল করছেন। তৃণমূল নির্বাচনি রণক্ষেত্রে নিধিরাম সর্দার নয়। রীতিমত তাঁরা ঢাল তলোয়ার সহ প্রস্তুত হয়ে রণে নামছেন বলে জানান মমতা।