আজ মহান উনিশে। ১৯৬১ সালের আজকের দিনেই বাংলা মাতৃভাষা আন্দোলনে ১১ জন তরতাজা প্রাণ দিয়েছিলেন।
অসমের বহুভাষিক চরিত্রকে অস্বীকার করে উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং অনঅসমীয়া জাতিগোষ্ঠির মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে জোর করে অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠে যারা বরাক উপ্যতাকার শিলচরের বুকে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, আজ তাদেরকে স্মরণ করার দিন।
৫৮ তম এই একাদশ শহিদ দিবসে আজ শিলচরে ভোর হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে শহিদ তর্পণ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সাংস্কৃতিক সংস্থা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে শহরের সচেতন মহল আজ গানে-কথায়-কবিতায় শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
এদিন সকাল ৬ টা নাগাদ শিলচর রেল স্টেশন চত্ত্বর থেকেই শুরু হয় শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে মানুষ গিয়ে জমায়েত হন। ভাষাসৌধে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন। কারণ ১৯৬১ সালের আজকের দিনে সকাল ৬ টা নাগাদ রেল স্টেশনে ভাষা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন ১১ জন।
অন্যদিকে, আজ ঠিক ৮ টার সময় সবাই চলে যান শিলচর শ্মশান ঘাটে। সেখানে লাইন ধরে সবাই এগিয়ে যান প্রত্যেক ভাষা শহিদদের নামাঙ্কিত পৃথক পৃথক সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে। ঘড়ির কাটায় কাটায় ঠিক ৮ টার সময়ই তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয় তার কারণ, ১৯ মে পরের দিন শিলচর শ্মশান ঘাটে ১১ জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল।
এদিকে, আবার ঠিক দুপুর আড়াইতে নাগাদ শিলচর গান্ধীভবনে থাকা ১১ জনের সংরক্ষিত ছাই- ভষ্মের স্মৃতি সৌধে জানানো হবে শ্রদ্ধাঞ্জলি। কারণ ১৯ মে ঠিক দুপুর আড়াইতে নাগাদ ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল।