একদিনের ঝটিকা প্রচারে অসমে এসে দুইটি জনসভায় যোগ দিয়ে নয়াদিল্লী ফিরে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন টীয়ক ও কলিয়াবরে দুইটি জনসভায় যোগ দিয়ে কংগ্রেস দলের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ১০ বছরে যে কাজ করতে পারেনি, ৫ বছরে সেকাজ করে দেখিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মিত্রজোট সরকার। তিনি বলেন, ইউপিএ সরকার ৫ বছরে অসমের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার বিগত ৫ বছরে এই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করেছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। মনমোহন সিংকে আক্রমণের নিশানা করে
তিনি বলেন, এই রাজ্য থেকে ২০ বছর সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু এই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি কিছুই করেননি। তাছাড়া দশকের পর দশক দেশ শাসন করলেও দুর্ণীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি কংগ্রেস।
তিনি বলেন, মোদীর শাসনে বিগত ৫ বছরে অনেকটা এগিয়ে গেছে ভারত। ইউপিএ জামানার তুলনায় দেশ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও দেশের মর্যাদা বেড়েছে। বিরোধীরা এসব সহ্য করতে পারছে না। তাই এনডিএ সরকারকে হারাতে চাইছে। অদ্ভুত অদ্ভুত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে চাইছে। কিন্তু ভারতবাসী এসব ভাওতাবাজীতে ভুলবে না। যে দল ৭০ বছর দেশ শাসন করে গরিবী দূর করতে পারেনি, তারা এক চুটকিতে গরিবী দূর করার কথা বলছে। অমিত শাহ বলেন, বিরোধীরা বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটাতে চাইছে কিন্তু তাদের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী নেই। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে নরেন্দ্র মোদীই একমাত্র লোক যিনি দেশকে সঠিক ভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। তার প্রতিদ্বন্দী নেই। তাই তার হাত মজবুত করতে হবে। এজন্য অসম থেকে যত বেশী সম্ভব সাংসদ পাঠাতে হবে সংসদে।
তিনি বলেন, দেশের সংগে সংগে অসমের কথাও চিন্তা করতে হবে। অসমের কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে, খিলঞ্জিয়াদের সুরক্ষার জন্য অসম চুক্তির ৬ নং দফা রুপায়ন করতে হবে। এই কাজে হাত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।