চিনের উহান থেকে সৃষ্ট ভাইরাস এখন সারা পৃথিবী জুড়ে সংহার চালাচ্ছে। বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সাথে সাথে মৃত্যু সংখ্যা।
তবে গবেষক, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠাণ্ডা মাথায় থাকায় কথা।
এমন বহু লোকের ধারণা জন্মেছে, করোনা মানেই মৃত্যু। না তা নয়।
সমগ্র বিশ্বে ৬ থেকে ৮০ শতাংশ কোভিড-১৯ রোগী মৃদু বা সামান্য উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর সেরে উঠছেন।
এর মধ্যে ৪ থেকে ৬ শতাংশের অবস্থা জটিল হতে পারে। উপসর্গ কিছু দেখা দিলেও আতংকিত হবেন না। যত্নে থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন।
তবে উপকার পাওয়া যায় কোভিড-১৯ থেকে, এমন ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। যেহেতু এটি একটি নতুন রোগ। বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব চিন্তা না করে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো অনেক লাভদায়ক।
এছাড়া, দেখা যাচ্ছে, কম বয়স্ক অথবা মধ্য বয়স্করা এই রোগে আক্রান্ত হবেন না ঝুঁকি কম ভেবে অবহেলা করছেন। মোটেও তা নয়। বৃদ্ধদের পাশাপাশি সমানে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে প্রত্যেক বয়সীদের।
চারদিকের নেতিবাচক সংবাদগুলো আমাদের ক্লান্ত করে তুলতে পারে। অনেকেই এই সংকট মুহূর্তে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। সারাদিন-রাত বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল ঘাটতে ঘাটতে সত্য-মিথ্যায় খবর দেখে অথবা পড়ে মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক।সুতরাং এ সময় ভালো বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে গল্প-গুজব করুন্, ঘরে বসে কোন কাজ থাকলে, সেলাই-ফোঁড়াই থাকলে করুন। এবং দিন শেষে কোন একটি নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম থেকে খবর নিয়ে নিন।
সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।