শিলচর: সম্প্রতি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Assam University) আরবি বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে বিভাগীয় অধ্যাপক দ্বারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছে।
এই নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করল Barak Democratic Youth front। এক প্রেস বার্তায় যুবফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে এদিন বলা হয়েছে ১৯২০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সংগ্রাম শুরু হয়েছিল এবং এর ফলশ্রুতিতে ১৯৯২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়।
কল্পার্ণবের প্রশ্ন এই আজগুবি তথ্যের সূত্র কি? ১৯২০ সালে কে বা কারা এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা জানানোর কর্তব্য সেদিনের বক্তার উপর দিয়ে তিনি বলেন যে এরকম কোন ব্যাপার তাঁদের জানা নেই।
উপত্যকার সবাই জানেন যে ১৯৮৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আকসার নেতৃত্বে সামগ্রিক আন্দোলনের সূচনা হয় । এবং বরাকের সমস্ত জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে ১৯৯৪ সালের ২১ শে জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিম্মা রাওয়ের উপস্থিতিতে।
তাঁর প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধ্যাপক বা প্রভাষকরা প্রতিষ্ঠার তারিখই সঠিক জানেন না তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের কি শিক্ষা দেবেন ? তিনি বলেন কেউ এতদঞ্চলের ইতিহাস ভুগোল সম্যক জানলেই তাঁর এই প্রতিষ্ঠানের সাথে একাত্মতা সূচিত হতে পারে।
এর অভাবেই উদাসীনতা তৈরি হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। কল্পার্ণব আরো বলেন যে ইদানীং শিক্ষকরা ন্যুনতম ৯০ দিনের ক্লাস নেননি বলে সেমিস্টার পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
একাংশ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন বলে বিডিওয়াইএফ সম্প্রতি যে অভিযোগ তুলেছিল এটাই তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
বিডিওয়াইএফ এর আরেক আহ্বায়ক বাহার আহমেদ চৌধুরী বলেন যে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ফাউন্ডেশন কোর্সে পড়ানোর জন্য একটি বই প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য সুভাষ সাহা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুবীর করের সভাপতিত্বে একটি কমিটি সেই বই লেখার কাজটি শেষও করে। কিন্তু বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বারবার আশ্বাস দিয়েও কোন রহস্যজনক কারণে আজ অব্দি সেই বই প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ।
তিনি বলেন এই বইটি প্রকাশিত হলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষ্ঠানে বিভাগীয় অধ্যাপকদের থেকে এমন ভুল তথ্য দেবার অবকাশ থাকত না।
যুবফ্রন্টের পক্ষ থেকে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই বই প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে বলে দাবি জানান হয়েছে। বিডিওয়াইএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক দেবায়ন দেব।