প্রচণ্ড দাবদাহ ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে কাটিগড়ার বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবা । বিদ্যুত বিভাগের বদান্যতায় বৈদ্যুতিক পাখার হাওয়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। রেহাই নেই অফিস আদালতে কর্মরত কর্মচারী সহ সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের ।
কিন্তু হায় সর্বনাশ ! মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিঙের যন্ত্রণায় নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে অহর্নিশ । বলতে গেলে বিদ্যুতের প্রতি অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন গ্রাম কাটিগড়ার আমজনতা। তবে এরথেকে আরও আশ্চর্য বিষয় বিদ্যুৎ বিভাগের হর্তাকর্তাদের মোবাইল ফোন নিয়মিত স্যুইচ অফের মধ্যেই থাকছে।
কাটিগড়া বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের সরকারী ফোন নম্বর সদা ব্যাস্ত থাকায় বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করাও এক অসম্ভব বিষয় ।
বিদ্যুতের বেহাল পরিষেবা সহ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা নিয়ে এপিডিসিএলের কালাইন সাবডিবিশনের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদোল নেই বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করা দুস্কর বলে অভিযোগ অনেকেরই ।
মোদ্দাকথা, মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই চলছে বৃহত্তর কাটিগড়ার বিদ্যুৎ পরিষেবা। তাছাড়া বিদ্যুতের মাসিক শুল্কে গরমিল সহ সাবডিবিশনের আভ্যন্তরীণ অব্যবস্থা নিয়ে গণ অসন্তুষ্টি বিরাজ করছে জনমানসে।
এই পরিস্থিতিতে এখানকার বিদ্যুৎ পরিষেবার হাল আদৌ পরিবর্তন হবে বলে কারো বিন্দুমাত্র প্রত্যাশা নেই । এক্ষেত্রে বিভাগীয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ শাসকদলীয় বিধায়কের সদর্থক পদক্ষেপ কামনা করেন এ অঞ্চলের ভুক্তভোগীরা।
সামনে ঈদ-উল-ফিতর। ইসলামধর্মের সর্ববৃহৎ পরব। সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে গ্রাম কাটিগড়ার প্রতিটি মসজিদ,ঈদগাহ সেজে উঠছে। বিভিন্ন মসজিদ কমিটি, ঈদ উদযাপন কমিটির তরফে জোর প্রস্তুতি চললেও বিদ্যুৎ সমস্যা এখানেও বাধ সাধছে।
কাটিগড়া ঈদ উদযাপন কমিটির তরফে রাজু হোসেন,আজির উদ্দিন,আলতাফ হোসেন, আশিক উদ্দিন চৌধুরীরা পবিত্র ঈদের মুহূর্তে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলার আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রতি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।