কর্মক্ষেত্র এমন এক স্থান, যেখানে নেই কোন জাত–ধর্ম, নারী–পুরুষ । কিন্তু সেটা বোধকরি লেখার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ । বাস্তবে ঘটছে তাঁর ঠিক উলটো ।
অসমে কর্মস্থলে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । তা সরকারিই হোক কিংবা বেসরকারি। তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে কর্মক্ষেত্রে প্রায় ৪১ শতাংশ মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার ।
সম্প্রতি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ–ইস্ট নেটওয়ার্ক ‘অসমে মহিলাদের জন্যে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা এবং মর্যাদা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্য দিবালোকে আসে ।
অসমের গুয়াহাটি, বরপেটা, কোকরাঝার, তেজপুর, ডিব্রুগড়, ডিফু এবং শিলচর এই ৭ অঞ্চলে ৩৬৪ জন লোকের মধ্যে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল ।
প্রতিবেদনে আরো এক মর্মান্তিক সত্য প্রকাশ পেয়েছে যে, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন কোন কোন উপায়ে সংঘটিত হচ্ছে, এই বিষয়ে মহিলারা সজাগ নয় । তাঁরা চরম ভাবে ধর্ষণ করাকেই যৌন নির্যাতন হিসেবে ধরে নেন ।
উল্লেখযোগ্য, ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতবর্ষে নারী নির্যাতন, নারীর বিরুদ্ধে করা অপরাধের ক্ষেত্রে নয়া দিল্লির পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অসম রাজ্য ।
সুতরাং, কর্মক্ষেত্রেই হোক কিংবা সচরাচর চলাফেরা করার সময়, সর্বদা মহিলাদের চোখ–কান সজাগ রেখে বুঝতে হবে সমস্ত কিছু ।
মনোবল হারিয়ে ফেললে কখনোই চলবে না !