নয়াদিল্লি: কোনো কথা নয়, সোজা নিষিদ্ধ।পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে popular front of india (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে PFI-কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল।এবার পাঁচ বছরের জন্যে নিষিদ্ধ হলো PFI।
উল্লেখযোগ্য যে, এনআইএ, ইডি-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি যৌথ অভিযান চালায় অনেক রাজ্যের পিএফআই-এর pfi ঠিকানাগুলিতে। এবং গ্রেফতারও করা হয়েছে শতাধিক।
শুধু পিএফআই (pfi) নয়, এটি ছাড়াও ৯টি সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পিএফআই (pfi) ছাড়া রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (RIF), ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (CFI), অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল (AIIC), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (NCHRO), ন্যাশনাল উইমেন ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রিহ্যাব ফাউন্ডেশন, কেরলের মতো সহযোগী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কঠোরভাবে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, PFI বর্তমানে ভারতের দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার, কেরালা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশে সক্রিয়।
এদিকে ইউটিউব ভিডিও তো ব্যান হয়েছেই।কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জনসমক্ষে পিএফআই ও সহযোগী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরলেও (পর্দার আড়ালে) অর্থাৎ পেছনে সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে উগ্রপন্থার বীজ বপণের গোপন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। যা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ধ্বংস করা এবং দেশের সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ, সাংবিধানিক কাঠামোকে চূড়ান্ত অবহেলা করার লক্ষ্যে কাজ করছে।’
এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ভারত সরকার। এই পিএফআই অনেক অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত। তাদের কাজকর্ম দেশের আভ্যন্তরীণ সুরক্ষায় বাধাস্বরূপ।