নগাঁও কাগজ কলের কলের ইউটিলিটি ম্যানাজার বিশ্বজিৎ মজুমদারের আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়।
মজুমজার যে কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন, বৃহস্পতিবার পুলিশ পরিবারের উপস্থিতিতে সেই কক্ষের তালা খুলে প্রবেশ করে। সেই কক্ষে, পুলিশ তল্লাশি চালানোর সময় একটি ‘সুইসাইড নোট’ নজরে পড়ে তাদের।
ফ্রিজের উপরে লেখা মজুমদারের ‘সুইসাইড নোটে’ তাঁর আত্মহত্যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করা হয়েছে।
আত্মহত্যার আগে মজুমদার কোনও উপায় না পেয়ে ফ্রিজের উপরেই লিখে রেখে যান তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর কাহিনী।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বছর তিনেক আগে দুটি কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয় নি। একের পর এক কলের কর্মচারী অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন, আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিচ্ছেন। নেতা-মন্ত্রীদের দরজায় কড়াও নেড়েছেন অসহায় কর্মচারীর পরিবার। কিন্তু সরকারের টনক কিছুতেই নড়ছে না। বিশ্বজিৎ মজুমদারের আত্মহত্যার ঘটনায়ও কোনও প্রতিক্রিয়া নেই কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের।
সরকারের এই নির্বাক ভূমিকায় ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন কাগজকল কর্মচারীরা।
বিশ্বজিৎ বাবুর মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত এই কাগজ কল দুটির কর্মচারীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৫।
এদের মধ্যে বিশ্বজিৎ মজুমদার সহ আত্মহত্যা করেছেন মোট ৩ জন।