ফের অসমের সাবেক মন্ত্রী গৌতম রায়ের নাগরিকত্ব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আব্দুল খালেকের ক্ষেত্রে !
আসামের বরপেটা লোকসভা আসন থেকে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের আবদুল খালেক। বিজেপির শরিক দল অসম গণপরিষদের কুমার দীপক দাসকে পরাজিত করেছেন তিনি ।
ভারতীয় কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল খালেক লাভ করেছেন ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪১ ভোট । অপরদিকে এজিপি প্রার্থী কুমার দিপক দাস পেয়েছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৩১৯ ভোট ।
কিন্তু এন আর সির হয়রানি থেকে নিস্তার পেয়েছেন কি আব্দুল বাবু ? এবার তাঁর মাকে দিতে হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রমাণ !
আবদুল খালেকের ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা সাবুয়া খাতুনের নাগরিকত্ব নিয়ে জোর আপত্তি ওঠে। আপত্তির প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। হাজিরা দিতে হয় এনআরসি কেন্দ্রে।
রাজ্যের আর পাঁচজন সংখ্যালঘু নাগরিকের মতো তাঁকে নিয়মিত হয়রানি্র শিকার হতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাবুয়া খাতুনের নাগরিকত্ব নিয়ে আপত্তি তুলেছেন জনৈক হৃদয় রঞ্জন নাথ। কিন্তু দেখা গেছে আপত্তির শুনানির দিন হৃদয় নিজেই গরহাজির ছিলেন ! তাই তাঁর আপত্তি খারিজ হয়ে যায় ।
আব্দুল খালেকের মতো একই রকম ঘটনা ঘটে অসমের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক কংগ্রেস মন্ত্রী গৌতম রায় ও তাঁর ছয় বছরের নাতি্র ক্ষেত্রে ।
সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের জন্ম অসমের কলাগাছিয়ায়। তাছাড়া ১৯৫১ সালের প্রথম এনআরসি তালিকাতে এবং ১৯৭০ সালে ভোটার তালিকাতেও মায়ের নাম রয়েছে ।
তথাপি হয়রানির হাত থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না সংখ্যালঘু নাগরিকরা ।