ভারতীয় গোর্খা লোকেরা কখনো এনআরসি তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে বিদেশি ন্যায়াধিকরণের কাছে যাবে না। কারণ বিদেশি ন্যায়াধিকরণের কাছে যাওয়ার একটাই অর্থ, সেটা হল নিজের অপমান। এবং তা কখনো হতে দেবে না তারা।
রবিবার সংবাদমাধ্যমে ভারতীয় গোর্খা পরিসংঘের পক্ষ থেকে গুয়াহাটিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় সভাপতি সুকমান মকটান।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ১ লক্ষ গোর্খা লোককে বিনাশর্তে তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের কথা অসম সরকারকে জানিয়ে দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সম্পাদক নন্দ কীর্তি দেওয়ান রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাদ পড়া সমস্ত গোর্খাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্যে অসম সরকারকে বিশেষ কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, উপাধির জন্যে বহু গোর্খার নাম চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা বাদ গেছে। যেহেতু গোর্খার পুত্র শর্মা লেখে কিংবা লিখতে পারে।
পরিসংঘের অসম রাজ্যিক সমিতির সভাপতি, অধিবক্তা নিত্যানন্দ উপাধ্যায় এই মর্মে ভারতীয় সংবিধানের কথা উল্লেখ করে বলেন,
“১৯৫৩ সালের পর নেপাল থেকে আসা লোকের জন্যে সংবিধানের ৭নং ও ৮নং দফায় স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে তারা ভারতে এসে বসবাস করতে পারবে। পাশাপাশি এখানে চাকুরি ও ব্যবসাও করতে পারবে। তাদের কোন অবস্থাতেই বিদেশি ন্যায়াধিকরণে নেয়া যাবে না।”
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অসমের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়া জনগণের নাগরিকত্ব বিচার শীঘ্রই শুরু হবে।
অসমের বিদেশি ন্যায়াধিকরণগুলোতে অসম সরকার এখন পর্যন্ত ২২১ জন সদস্যের নিযুক্তিদান করেছেন। আগামি মাসেই শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।