বাঙালি হওয়া কোনও অপরাধ নয়। ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। এতে, বাংলা ভাষা সংখ্যার দিক দিয়ে ছয় নম্বর স্থানে রয়েছে। তাহলে, কেন আজ বাঙালির এমন দুর্দশা? শিলচর জেল খানা সেই তথাকথিত ডিটেনশন ক্যাম্পের একটি ভারসন। সেখানে বিনা বিচারে ভাষিক সংখ্যালঘুদের আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই প্রতিবাদ। এমনটাই মন্তব্য করলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য।
রবিবার, ১৯ মে শহিদ দিবসে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শিলচর সেন্ট্রাল জেলের সামনে মানবশৃঙ্খল গঠন করে শহরবাসী। ডি ভোটার সাজিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পুরে বাঙালিদের উপর যে অমানবিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতেই এই মানবশৃঙ্খল গঠন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যও।
তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ভাষার আগ্রাসন চলাকালীন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ মে এগারোজন শহিদ হয়েছিলেন। কাজেই এই দিনটিকে, শুধু মাত্র গানে-কবিতায়-নাচে স্মরণ না করে শপথ নিতে হবে।
তাঁর কথায়, ‘১৯৬০ সালে ভাষা আগ্রাসনের প্রতীক হয়ে এসেছিল অসমের ভাষা বিল। তার বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ আন্দোলন করতে ১১ টি তরতাজা প্রাণ গিয়েছিল। এই দিনটিকে ঘিরে সেই একাদশ শহিদদের কাছ থেকে আমাদের দীক্ষা নিয়ে হবে’।
তপোধিরবাবু আরও বলেন, যেখানে ভাষিক সংখ্যালঘুর উপর অন্যায়-অত্যাচার হচ্ছে, অসমে যারা শিকড়চ্যুত হয়ে যাচ্ছে , রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস যে ধর পাকড় শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।
তিনি বলেছেন, ডি ভোটার–ডিটেনশন ক্যাম্প আতঙ্কে অনেক বাঙালি আত্মহত্যা করছে। বিনা বিচারে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক করে অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে। সেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এদিন আহ্বান জানিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য।