করোনার সংহারি রূপ যে কী মারাত্মকভাবে বিশ্বের দেশগুলোতে পড়ছে, তা অকল্পনীয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমেরিকায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
করোনা রোগিদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
চিনের পরই উন্নত দেশগুলো বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইটালি,স্পেন, ব্রিটেনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিমিনিটে মানুষ মারা যাচ্ছে।
উন্নত দেশগুলোরও আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে মারাত্মক করোনা ভাইরাস।
এদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারত ১৪১ নম্বরে রয়েছে। ভারতে এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বের এই মারাত্মক পরিস্থিতিতে অসমের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দল তথা অসমের প্রত্যেক চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীরা করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার জন্যে নিজেদের তৈরি করে তুলেছেন।
নর্থ ইস্ট নাও’য়ের সাংবাদিককে ডাঃ অনুপ বর্মণ জানিয়েছেনঃ
“আমরা অনুভব করছি যে অত্যধিক হারে করোনায় আক্রান্ত রোগি চিকিৎসালয়ে আসতে পারেন। আমরা না আসাটাই আশা করি। যদিও অসমে এ পর্যন্ত কোন পজিটিভ ঘটনা নেই তবুও আমাদের চিকিৎসকদের তৈরি রাখতে হবে। ইতালিতে যে হারে মৃত্যু ঘটছে তাতে তাঁদের মেডিক্যালে পড়াশুনা করা পড়ুয়াদের ডাক্তার বানিয়ে চিকিৎসা আরম্ভ করে দিয়েছে। সেজন্যে আমরাও আণ্ডার গ্রেজুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে রেখেছি।”
তিনি আরো বলেন যে, “আমরা প্রথম অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসা সেবার কাজে ব্যবহার করবো না। যদি প্রয়োজন ভয় বা ডাক্তার না থাকে তাহলে তাঁদের এই সেবাকার্যে নিয়োগ করবো। কারণ চিকিৎসকদের একটি নিয়ম আছে যে তাঁরা ৫ দিন চিকিৎসা করলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়।”
তবে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য কথাটি হলো, ডাঃ বর্মণ জানিয়ে দিয়েছেন, অসমের স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে অজস্র চিকিৎসক নেই।
অসমে মোট ৬ টি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ জন চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন বলে বর্মণ বলেন।
পর্যপ্ত চিকিৎসক না থাকা এই রাজ্যের সরকার এবং জনসাধারন যেন করোনাকে হাল্কাভাবে গ্রহণ না করে লক ডাউনের এই সময় ঘরবন্দী থাকেন। বহুবার বহুভাবে আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।